Wednesday, March 6, 2019

স্ত্রীকে বেশি ঘুমাতে দিন, তাতে আপনারই মঙ্গল!


সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘরে ঢুকে পড়েন আপনার স্ত্রী! বেড টি নিয়ে হাজির হন! ভালবাসা থাকলে ব্যাপারটা উল্টে দিন। সমীক্ষা বলছে, আপনার চেয়ে তার ঘুম বেশি দরকার। খবর এইবেলার।

ধরা যাক, রাতে এক সঙ্গে শুতে গিয়েছেন এবং ঘুমিয়েছেন। এবার আপনি যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তবে আপনার স্ত্রীর ওঠা উচিত ৮টা বেজে ২০ মিনিটে। এমনটাই বলছে বিজ্ঞান। বলছে, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের ২০ মিনিট বেশি ঘুম দরকার। আর এটা বেশি করে দরকার মধ্যবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে। ব্রিটেনের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমনই মত প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে এই বেশি ঘুম প্রয়োজনের কারণটা মেয়েদের না জানাই ভাল। গবেষণা বলছে, মেয়েদের মস্তিষ্ক বেশি জটিল, তাই ঘুমও দরকার বেশি। তা ছাড়া মেয়েদের মাথা সারাদিন বেশি খাটে। অন্তত পুরুষদের থেকে বেশি। আবার, অফিসের থেকে বাড়িতে থাকা মেয়েদের মাথা নাকি বেশি খাটে।

গবেষকদের বক্তব্য, ঘুম মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় আর সেটাই খুব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। দিনের বেলা মস্তিষ্ক যত বেশি কাজ করবে, রাতে ঘুম তত বেশি প্রয়োজন। মেয়েরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করেন, অনেক রকম চিন্তা করেন, অনেক বিষয়ে মাথা ঘামান এবং খাটান। আর সেই জন্যই বেশি ঘুম দরকার। অন্তত ২০ মিনিট বেশি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারলে মাথা খাটানো এবং ঘামানো আরও ভালভাবে করা যায়। তাই ঠিকঠাক ঘুমনো গিন্নিরা আরও মাথা খাটাতে পারেন। সেটা অন্যের অসুবিধা হলেও তাদের সক্ষমতা বাড়েই।
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Home Laboratory

Tuesday, March 5, 2019

অনেক দূরারোগ্য রোগের মহৌষধ ওয়াটার থেরাপি!


শুধু ১.৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি নিয়মিত পান করে অনায়াসেই নিচের রোগগুলো সারানো সম্ভব কোনো রকম ওষুধ ছাড়াই। একে ওয়াটার থেরাপি বা জলচিকিৎসা বলতে পারেন। এটি নিয়মিত চর্চার বিষয়। আপনি নিয়মিত চর্চা না করলে এটি কখনই বিশ্বাস করতে পারবেন না।

শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পানের মাধ্যমে যে সকল রোগ সারানো সম্ভব :
১. মাথাব্যাথা(মাইগ্রেন) , ২. ব্লাড প্রেশার/হাইপারটেনশন, ৩. এনিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) ৪. বাত (অস্থিসন্ধি বা পেশিতে ব্যাথা), ৫. সাধারণ পক্ষাঘাত, ৬. মোটাত্ব (অতিরিক্ত মেদ), ৭. আর্থারাইটিস, ৮. সাইনোসাইটিস, ৯. টাকিকার্ডিয়া, ১০. গিডিনেস, ১১. কফ/কাশ, ১২. এজমা, ১৩. ব্রঙ্কাইটিস, ১৪. পালমোনারি টিউবারকোলোসিস (টিবি), ১৫. মেনিনজাইটিস, ১৬. কিডনির পাথর, ১৭. মূত্রাশয়জনিত রোগ, ১৮. হাইপার এসিডিটি (গ্যাসটিক), ১৯. গ্যাস্ট্রো-এন্টারাইটিস, ২০. ডিসেন্ট্রি, ২১. মলাশয়জনিত রোগ(পাইলস), ২২. কোষ্ঠকাঠিন্য, ২৩. ডায়াবেটিস, ২৪. চোখের ব্যাধি, ২৫. চোখ ওঠা, ২৬. অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ২৭. লিউকোরিয়া, ২৮. জরায়ুর ক্যান্সার, ২৯. স্তন ক্যান্সার ও ৩০. গলাপ্রদাহ।

কীভাবে জলচিকিৎসা করবেন?
১. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে (মুখ না ধুয়ে/ব্রাশ না করে) ১.৫ লিটার (৫-৬ গ্লাস) পানি পান করুন (প্রথম প্রথম পরিমানে কম)। আগে থেকে ১.৫ লিটার পরিমাণের পাত্র পানি মেপে নেয়া যেতে পারে। আমাদের পূর্বসূরীরা একে ‘ঊষাপান্না চিকিৎসা’ বলত। এরপর আপনি হাতমুখ ধোয়া বা অন্যান্য কাজ করবেন।
২. বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন ১.৫ লিটার পানি পানের এক ঘণ্টা আগে বা পরে কোনো রকম তরল বা শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
৩. আরো একটি বিষয় কঠোরভাবে পালনীয় আগের রাতে কোনো প্রকার এলকোহল বা ওই জাতীয় পানীয় পান করা যাবে না।
৪. জলচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পানি প্রয়োজনে ভালোভাবে সেদ্ধ করে ও পরে ফিল্টার করে নিতে পারেন।

একবারে ১.৫ লিটার পানি পান করা কি সম্ভব?
প্রথম প্রথম একবারে ১.৫ পানি পান করা কষ্টদায়ক হবে, তবে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়িয়ে ১.৫ লিটার পানি পান করা সম্ভব হবে। আপনি যখন এই চিকিৎসা শুরু করবেন তখন প্রথমে চার গ্লাস পানি পান করলেন, কিছুক্ষণ পর (২ মিনিট) অবশিষ্ট দুই গ্লাস পানি পান করবেন। প্রথম দিকে পানি পানের একঘণ্টার মধ্যে আপনার ২-৩ বার প্রসাবের বেগ হতে পারে, তবে কিছুদিন পর তা স্বাভাবিক হযে যাবে। বিভিন্ন গবেষণা এবং অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীরা এক দিনে, এসিডিটির রোগীরা ২ দিনে ডায়াবেটিস রোগীরা ৭ দিনে, ব্লাড প্রেশার বা হাইপার টেনশেন রোগীরা ৪ সপ্তাহে, ক্যান্সার রোগীরা ৪ সপ্তাহে এবং পালমোনারি টিউবারকোলোসিস রোগীরা তিন মাসে আরোগ্য লাভ করেছেন।

আর্থারাইটিস এবং বাত আক্রান্ত রোগীদের প্রথম এক সপ্তাহ দিনে তিনবার এই থেরাপি করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সকালে, দুপুরে এবং রাতে খাওয়ার একঘণ্টা আগে। এরপর থেকে রোগ না সারা পর্যন্ত দিনে দুবার এই থেরাপি চালিয়ে যেতে হবে।

যথাযথ পদ্ধতিতে পানি পানের সাধারণ এই নিয়ম মানুষের দেহকে পরিশোধন করে, মানবদেহে নতুন সতেজ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। শরীর হয় সতেজ ও প্রানবন্ত। একবার চর্চা করে দেখুন৷
(সংগৃহীত)

ধন্যবাদ | Health Magazine

Preface to Health Magazine!

--